সাথে দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি জাতি মেনে নেবে না : আল্লামা বাবুনগরী
গত শনিবার ভারত সফরত
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে
দুই দেশের মধ্যে যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
স্বাক্ষরিত হয়েছে তা দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিরোধী
চুক্তি উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে তা বাতিলের দাবী
জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। আজ ৮ ই অক্টোবর সংবাদ
মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী
বলেন, সম্প্রতি ভারতের সাথে যে সব নতুন চুক্তি
সাক্ষরিত হয়েছে তা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব
বিরোধী। দেশের জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে
দিল্লিকে খুশি করতে এসব চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ এসব চুক্তি মেনে নেবে না।
আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের
সীমান্তে প্রবেশ করে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষকে
পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে
রাখে।এর কোন বিচার হয়না।আর সেই ভারতকে ক’দিন পর
পর চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশের
জনগণের প্রাপ্য অধীকার নষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশের
সমুদ্র বন্দর, নদীপথ, ফেনী নদীর পানি এবং জ্বালানী
সঙ্কটে জর্জরিত বাংলাদেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক
গ্যাস ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক
গ্যাস বাংলাদের অমূল্য সম্পদ। ক’দিন পর পর গ্যাসের দাম
বৃদ্ধি করা হচ্ছে।চড়া মূল্য দিয়েও দেশের মানুষ চাহিদা
মত গ্যাস পাচ্ছে না।অথচ সেই গ্যাস ভারতকে দেয়া
হচ্ছে।এটা আপামর জনসাধারণের ন্যায্য অধীকার হননের
শামিল। উপকূলীয় নজরদারির কথা বলে বাংলাদেশে
ভারতকে রাডার স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এটা
দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌম ও নিরাপত্তার জন্য চরম
হুমকি। আল্লামা বাবুনগরী বলেন,এ যাবত ভারতকে
চট্টগ্রাম বন্দর সহ দুই সমুদ্র বন্দর দেয়া হলো, ট্রানজিটের
জন্য রাস্তা, রেলপথ, নদীপথ , তরল প্রাকৃতিক গ্যাস,
ফেনী নদীর পানি দেয়া হলো কিন্তু তিস্তার পানি বণ্টন
নিয়ে দীর্ঘ এক যুগ দৌড়ঝাপ করেও ভারত থেকে
একফোঁটা পানি আনতে পারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের লাখ লাখ তরুণ আজ বেকার অথচ লাখ লাখ
ভারতীয়কে উচ্চপদের চাকুরিতে জায়গা করে দেয়া
হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য চরম উদ্বেগের বিষয়।
ক্যাসিনো সম্রাটরা দেশের মানুষের রক্তে ঘামে
অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনৈতিক
উন্নয়নের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে।মদ জুয়ার আসর বসিয়ে
দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।এসবের
উল্লেখযোগ্য কোন বিচার হচ্ছে না।একটা স্বাধীন
রাষ্ট্র এভাবে চলতে পারেনা। সম্প্রতি দেশের কয়েকজন
আলেম গুম হওয়া ও বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার
ফরহাদকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় চরম
উদ্বেগ প্রকাশ করে হেফাজত মহাসচিব বলেন,দেশের
জনগণ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।গুম খুনের রাজ্যে
পরিণত হয়েছে এ দেশ। তিনি আরো বলেন,বুয়েট
শিক্ষার্থী আবরার যদি বাস্তবেই দোষী হয়ে থাকে
তাহলে দেশীয় আইনে তাকে বিচার মুখোমুখি করা হত।
কিন্তু তা না করে জানোয়ারে মতো পিটিয়ে হত্যা করা
হয়েছে।এটা চরম অমানবিক আচরণের শামীল। যাঁরাই
দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলছে
হামলা-মামলা ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের কণ্ঠরোধ
করা হচ্ছে।গুম করা হচ্ছে,খুন করা হচ্ছে। আবরারকে
যেভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা
পশুত্বকেও হার মানিয়েছে উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আবরার হত্যার সাথে জড়িতদের
খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গুম হওয়ার
আলেমদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর
দাবী জানিয়েছেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা
জুনায়েদ বাবুনগরী।অন্যথায় দেশের আপামর জনসাধারণ এ
সমস্ত জুলুম মির্যাতনের প্রতিবাদে দুর্বার আন্দোলন
গড়ে তুলে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে
দুই দেশের মধ্যে যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
স্বাক্ষরিত হয়েছে তা দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিরোধী
চুক্তি উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে তা বাতিলের দাবী
জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। আজ ৮ ই অক্টোবর সংবাদ
মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী
বলেন, সম্প্রতি ভারতের সাথে যে সব নতুন চুক্তি
সাক্ষরিত হয়েছে তা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব
বিরোধী। দেশের জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে
দিল্লিকে খুশি করতে এসব চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ এসব চুক্তি মেনে নেবে না।
আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের
সীমান্তে প্রবেশ করে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষকে
পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে
রাখে।এর কোন বিচার হয়না।আর সেই ভারতকে ক’দিন পর
পর চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশের
জনগণের প্রাপ্য অধীকার নষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশের
সমুদ্র বন্দর, নদীপথ, ফেনী নদীর পানি এবং জ্বালানী
সঙ্কটে জর্জরিত বাংলাদেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক
গ্যাস ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক
গ্যাস বাংলাদের অমূল্য সম্পদ। ক’দিন পর পর গ্যাসের দাম
বৃদ্ধি করা হচ্ছে।চড়া মূল্য দিয়েও দেশের মানুষ চাহিদা
মত গ্যাস পাচ্ছে না।অথচ সেই গ্যাস ভারতকে দেয়া
হচ্ছে।এটা আপামর জনসাধারণের ন্যায্য অধীকার হননের
শামিল। উপকূলীয় নজরদারির কথা বলে বাংলাদেশে
ভারতকে রাডার স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এটা
দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌম ও নিরাপত্তার জন্য চরম
হুমকি। আল্লামা বাবুনগরী বলেন,এ যাবত ভারতকে
চট্টগ্রাম বন্দর সহ দুই সমুদ্র বন্দর দেয়া হলো, ট্রানজিটের
জন্য রাস্তা, রেলপথ, নদীপথ , তরল প্রাকৃতিক গ্যাস,
ফেনী নদীর পানি দেয়া হলো কিন্তু তিস্তার পানি বণ্টন
নিয়ে দীর্ঘ এক যুগ দৌড়ঝাপ করেও ভারত থেকে
একফোঁটা পানি আনতে পারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের লাখ লাখ তরুণ আজ বেকার অথচ লাখ লাখ
ভারতীয়কে উচ্চপদের চাকুরিতে জায়গা করে দেয়া
হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য চরম উদ্বেগের বিষয়।
ক্যাসিনো সম্রাটরা দেশের মানুষের রক্তে ঘামে
অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনৈতিক
উন্নয়নের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে।মদ জুয়ার আসর বসিয়ে
দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।এসবের
উল্লেখযোগ্য কোন বিচার হচ্ছে না।একটা স্বাধীন
রাষ্ট্র এভাবে চলতে পারেনা। সম্প্রতি দেশের কয়েকজন
আলেম গুম হওয়া ও বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার
ফরহাদকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় চরম
উদ্বেগ প্রকাশ করে হেফাজত মহাসচিব বলেন,দেশের
জনগণ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।গুম খুনের রাজ্যে
পরিণত হয়েছে এ দেশ। তিনি আরো বলেন,বুয়েট
শিক্ষার্থী আবরার যদি বাস্তবেই দোষী হয়ে থাকে
তাহলে দেশীয় আইনে তাকে বিচার মুখোমুখি করা হত।
কিন্তু তা না করে জানোয়ারে মতো পিটিয়ে হত্যা করা
হয়েছে।এটা চরম অমানবিক আচরণের শামীল। যাঁরাই
দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলছে
হামলা-মামলা ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের কণ্ঠরোধ
করা হচ্ছে।গুম করা হচ্ছে,খুন করা হচ্ছে। আবরারকে
যেভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা
পশুত্বকেও হার মানিয়েছে উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আবরার হত্যার সাথে জড়িতদের
খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গুম হওয়ার
আলেমদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর
দাবী জানিয়েছেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা
জুনায়েদ বাবুনগরী।অন্যথায় দেশের আপামর জনসাধারণ এ
সমস্ত জুলুম মির্যাতনের প্রতিবাদে দুর্বার আন্দোলন
গড়ে তুলে বাধ্য হবে।
No comments